কক্সবাজারে সিলেট যুব একাডেমি এনজিও-র অনিয়ম; স্থানীয়কে ছাটাই

ডেস্ক রিপোর্ট – বাংলাদেশের ১৩ টি জেলা জুড়ে সেভ দ্যা চিলড্রেনের “এইচআইভি প্রতিরোধ কার্যক্রম”একটি প্রকল্প দীর্ঘদিন ধরে পরিচালিত হচ্ছে। সেভ দ্যা চিলড্রেন বিভিন্ন এনজিওর মাধ্যমে বিভিন্ন ব্রাঞ্চে তাঁদের কার্যক্রম চালাচ্ছে, তার ই পরিক্রমায় কক্সবাজার আর টেকনাফ ২ টি ব্রাঞ্চ সিলেট যুব একাডেমি এনজিওর অধিনে পরিচালিত হয়ে আসতেছে ২০১৮ সাল থেকে। সম্প্রতি  সেভ দ্যা চিলড্রেন উক্ত ২ ডিআইসি পরিদর্শনে আসলে বিভিন্ন অমিয়মের দৃশ্য ফুটে উঠে। উক্ত অনিয়মের অন্যতম হোতা ছিলেন সিলেট যুব একাডেমির প্রোগ্রাম ও এমএন্ডই অফিসার মাহফুজ (রাজশাহী) এবং তার অধিনস্ত বিভিন্ন ব্রাঞ্চের ম্যানেজার।

উক্ত অনিয়ম রুখে দিতে সেভ দ্যা চিলড্রেন টীম কক্সবাজারের নাইট গার্ড ওমর ফারুক কে তাদের ফোন নং দিয়ে জানায় যেকোনো অসংগতি নজরে আসলে যেন হেড অফিসে জানাতে।

তার ই সুত্র ধরে ওমর ফারুক কক্সবাজারের সহজ-সরল ছেলেটি বিভিন্ন অনিয়ম আর অসংগতি হেড অফিসে জানিয়ে আসতেছিল, সর্বশেষ ১২ এপ্রিল রোজ শুক্রবার সেভ দ্যা চিলড্রেনকে কোয়ার্টারলি রিপোর্ট প্রদানের ডেডলাইন থাকলে অফিস আদেশ হয় সকল সিনিয়র ষ্টাফ  শুক্রবারে অফিসে রিপোর্ট প্রদানের কাজ করবে, উক্ত দিনে মাহফুজ ছাড়া সবাই অনুপস্থিত থাকার পরে ও মাহফুজ হেড অফিসে জানিয়ে দেয় সবাই উপস্থিত আছে। এবং শনিবারে কক্সবাজারের মেডিকেল এসিস্ট্যান্ট খতিজা বেগম একজন রোগী কে সেবা দিয়ে রেজিস্ট্রারে ৪ জন রোগীর নাম-ঠিকানা লিখে জাল স্বাক্ষর দিয়ে নিজের ব্যাগে মেডিসিন ডুকিয়ে নেয় ।

উক্ত বিষয়গুলো নাইট গার্ড ওমর ফারুক হেড অফিসে ফোন কলের মাধ্যমে জানিয়ে দিলে আজ রবিবার সিলেট যুব একাডেমির এমএন্ডই অফিসার মাহফুজ বিনা নোটিশে ওমর ফারুক কে অফিশ থেকে বের করে দেন।সদ্য এসএসসি পাশ করে নাইট গার্ডে চাকুরী পাওয়া ছেলেটির রক্ষা হয়নি বহিরাগত এনজিও কর্মীদের দুর্নীতি আর অনিয়মের বিরুদ্ধে কথা বলার কারনে।

মাহফুজ কক্সবাজারে যোগদান করে ২৮ ই এপ্রিল,অল্প সময়ে মাহফুজ তার বিভিন্ন আত্বীয়-স্বজনকে স্বজন-প্রীতির মাধ্যমে কক্সবাজার আর টেকনাফ ব্রাঞ্চে চাকরী দেওয়ার অভিযোগ আছে, যারা হল টেকনাফ মেডিকেল এসিষ্টেন্ট নাজমা খাতুন( রাজশাহী), কক্সবাজারের মেডিকেল  এসিষ্টেন্ট খতিজা আকতার (রাজশাহী) , কক্সবাজারের আউটরীচ ওয়ার্কার তসলিমা বেগম।

উল্লেখ্য যে,  কক্সবাজারের মেডিকেল এসিষ্টেন্ট খতিজা আকতারের সাথে মাহফুজের দহরম মহরম সম্পর্ক এবং খতিজা বেগম মাহফুজের সাথে হালিশহর ব্রাঞ্চে কর্মরত ছিল, মাহফুজ কক্সবাজারে যোগদান করার সাথে সাথে খতিজা আকতারকে ও নিজের সঙ্গে রাখতে কক্সবাজার নিয়ে আসে। যার কারনে মাহফুজের স্ত্রী তার স্বামীর অধিনে চাকুরীরত বিভিন্ন জনকে অভিযোগ করে আসতেছে প্রতিনিয়ত। ঐদিকে মহেশখালীর বাসিন্দা ফারুকের বাবা অসুস্থ  নুরুল ইসলামের সাথে কথা বলে জানা যায়, তাদের পরিবারের একমাত্র অর্থ উপার্জনের উৎস হল ফারুক , তার চাকরী না থাকলে তার বাবা-মা ছোট ভাই-বোন অনাহারে থাকবে। তিনি উক্ত বিষয়ে প্রসাশনের সহায়তা কামনা করেন।